পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গল্প

ছোটগল্প (দূরত্ব)

ছবি
  দূরুত্ব দূরত্ব  “যখন নীরবে দূরে” দূরত্ব মাপার জন্যেই মিটার স্কেলের আবিষ্কার। অথচ আমাদের যে দূরত্ব, তা মিটারে আসবে না। মিটারে পারিপার্শিক দুরুত্ব আসে। স্কেল যা বাস্তব তার দুরুত্ব মাপতে পারে। অসীমে যা কিছুর অবস্থান তা স্কেল দিয়ে মাপা যায়না। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, ইচ্ছেটা অবান্তর। নিজেকে সান্তনা দেওয়ার মতন, ক্ষুধার পেট আর পিঠ যখন একত্রিত সেই সময়ে বেঁচে আছি এই অনুভূতির মতন আমাদের দুরুত্ব। আমি ক্ষুধা তেমন অনুভব করিনি, ছোটবেলা একটু আধটু রেগে না খেয়ে থেকেছি। তাতে আমি জানিনা ক্ষুধা কি, আমি শুনেছি। দেখেছি, ক্ষুধার কাছে বুলেটও শুকনা খেজুর। আমাদের দুরুত্ব ক্ষুধার থেকেও তীব্র, যখন কিচ্ছু  থাকেনা তখন আমাদের দুরুত্ব থাকে।

কবিতা (এক যে ছিল সোনার হরিণ )

ছবি
  এক যে ছিল সোনার হরিণ  সোনার হরিণ                                    -আমির হামজা সোনার হরিণ নাইতে গেলো দুধ সাগরের পরে রূপে তাহার খাঁটি সোনা, আলো উপচে ঝরে  চলনে বলনে দীপ্ত নিশি দাঁড়ালে দিব্য শশী চিবিয়ে চোয়াল নেড়ে খায় যখন তরু সারি সারি দাঁত তাহার ঝিলিক সূর্য জ্যোতি সোনার হরিণ ঘুমায় যখন, মায়ের কোলে বৎস যেন লুকিয়ে আছে স্বপনে সোনার হরিণ উঠলে জেগে আধার ফুরায় অভাবে সোনার হরিণ গহিন বনে বিচরণ করে সদা রূপ তাহার কোহিনুর অন্ধকারে উজ্জ্বলতা সোনার হরিণ নাইতে গেলো দুধ সাগরের পরে পেছন বনে লুকিয়েছিল শিকারি জারুল বৃক্ষ ওতে। হরিণ বুঝেনি তখন, ডুব দিবে সে পানিতে বুঝলে পরে ছুটতো শেষে আপন প্রাণের ভয়ে। ঢেউয়ের অতি নিকটে এসে, পা ছুঁয়ে যায় বারি এই সংযোগ হরিণের ভালো লাগে ভারী শিকারি তখন তির উঁচিয়ে লক্ষ্য তাহার হরিণ গলায় নাকি পেটে মারবে ভাবতে হবে গহিন। ভাবনার জাল ছিন্ন করে ছুড়ে দিলো সে তীর তবে, ছুটছে তীর সোনার হরিণ ফিরে তাকালো ...

কবিতা (হাজার বছর ধরে)

ছবি
  হাজার বছর ধরে হাজার বছর ধরে            -আমির হামজা  জহির রায়হানের “হাজার বছর ধরে”এর মতন আমাদের আনাগোনা হাজার বছরের। যদিও ক্ষণকালের জন্ম, মৃত্যুর হিসেব ডেথ সার্টিফিকেটে লিখা আছে। সূর্য ডোবার সাথে সাথে তুমি আসো আঁধারে তোমার বাস, হৃদয়ে আধার থাকে, তোমার কণ্ঠে আধারের ত্রাস। কণ্ঠে মৃত্যু ধ্বনি “হাজার বছর ধরে” পলক পড়ে না তখন, প্রশ্বাস আবেগে আচ্ছাদন। থাকো না পাশে সারাক্ষণ, চলে যাও ছেড়ে দূরে— জাহাজ যেমন তীর থেকে দূরে যায় সরে,“হাজার বছর ধরে।” পাখির মৃত্যু শোক ভুলেনি গাছ অশোক। তুমি তো দিলে না দেখা, বললে না পাখির মৃত্যু কথা— যেভাবে কবুতর কথা কয়, “হাজার বছর ধরে।” মাগরিবের আজান হলে, সময় যায় যেন বেগে চলে। তাগবিরে তাহরীমা বাধার আগে ফাতিহা শুরু হলে রাকাত ছুটে যাওয়ার ভয় বেঁধে বসে; তুমি তো বাঁধলে না আবেশে।  আমার এ জীবন ক্ষুদ্র ফুরিয়ে যাচ্ছে মাগরিবের ওয়াক্তে এসে, “হাজার বছর ধরে।” ভিখারিনী তার অন্ধ ভিখারির জীর্ণশীর্ণ রগ ওঠা হাতটা ধরে দূরে চালের আশায় পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে। তুমি তো ছিলে না পাশে, হাত ধরলে না এসে। আমি রহিনু একা এক ভিখারি “হাজার বছর...

জনপ্রিয় লেখা

ছোটগল্প (ভাঙা ছাতা)

কবিতা (বাবরি মসজিদ)

Never Let Me Go movie review