গল্প

ছোটগল্প (দূরত্ব)

ছবি
  দূরুত্ব দূরত্ব  “যখন নীরবে দূরে” দূরত্ব মাপার জন্যেই মিটার স্কেলের আবিষ্কার। অথচ আমাদের যে দূরত্ব, তা মিটারে আসবে না। মিটারে পারিপার্শিক দুরুত্ব আসে। স্কেল যা বাস্তব তার দুরুত্ব মাপতে পারে। অসীমে যা কিছুর অবস্থান তা স্কেল দিয়ে মাপা যায়না। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, ইচ্ছেটা অবান্তর। নিজেকে সান্তনা দেওয়ার মতন, ক্ষুধার পেট আর পিঠ যখন একত্রিত সেই সময়ে বেঁচে আছি এই অনুভূতির মতন আমাদের দুরুত্ব। আমি ক্ষুধা তেমন অনুভব করিনি, ছোটবেলা একটু আধটু রেগে না খেয়ে থেকেছি। তাতে আমি জানিনা ক্ষুধা কি, আমি শুনেছি। দেখেছি, ক্ষুধার কাছে বুলেটও শুকনা খেজুর। আমাদের দুরুত্ব ক্ষুধার থেকেও তীব্র, যখন কিচ্ছু  থাকেনা তখন আমাদের দুরুত্ব থাকে।

কবিতা (হাজার বছর ধরে)

 

হাজার বছর ধরে
হাজার বছর ধরে
হাজার বছর ধরে       

   -আমির হামজা 


জহির রায়হানের “হাজার বছর ধরে”এর

মতন আমাদের আনাগোনা হাজার বছরের।


যদিও ক্ষণকালের জন্ম, মৃত্যুর হিসেব
ডেথ সার্টিফিকেটে লিখা আছে।
সূর্য ডোবার সাথে সাথে তুমি আসো
আঁধারে তোমার বাস,
হৃদয়ে আধার থাকে,
তোমার কণ্ঠে আধারের ত্রাস।

কণ্ঠে মৃত্যু ধ্বনি “হাজার বছর ধরে”


পলক পড়ে না তখন,
প্রশ্বাস আবেগে আচ্ছাদন।
থাকো না পাশে সারাক্ষণ,
চলে যাও ছেড়ে দূরে—
জাহাজ যেমন তীর থেকে
দূরে যায় সরে,“হাজার বছর ধরে।”


পাখির মৃত্যু শোক
ভুলেনি গাছ অশোক।
তুমি তো দিলে না দেখা,
বললে না পাখির মৃত্যু কথা—
যেভাবে কবুতর কথা কয়,
“হাজার বছর ধরে।”


মাগরিবের আজান হলে,
সময় যায় যেন বেগে চলে।
তাগবিরে তাহরীমা বাধার
আগে ফাতিহা শুরু হলে
রাকাত ছুটে যাওয়ার ভয় বেঁধে বসে;
তুমি তো বাঁধলে না আবেশে। 

আমার এ জীবন ক্ষুদ্র ফুরিয়ে যাচ্ছে

মাগরিবের ওয়াক্তে এসে,
“হাজার বছর ধরে।”


ভিখারিনী তার অন্ধ ভিখারির
জীর্ণশীর্ণ রগ ওঠা হাতটা ধরে
দূরে চালের আশায়
পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে।
তুমি তো ছিলে না পাশে,
হাত ধরলে না এসে।
আমি রহিনু একা এক ভিখারি
“হাজার বছর ধরে।”


কান্নার রোল ওঠে বারবারে,
বুক ভেঙে আসে তোমার তরে।
যারে রেখেছি হৃদয়ের গহিনেতে,
যেখানে সূর্য নেই,
চাঁদের অভাব চিরন্তন।
তোমাকে রেখেছি অনিমেষ অবান্তনে।
ছিলে তুমি শত রূপে,
ছিলে একান্ত আমার হয়ে।
বাস্তবে ভেঙে যায় বুক,
ভেঙে যায় ঘর “হাজার বছর ধরে।”


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

ছোটগল্প (ভাঙা ছাতা)

কবিতা (বাবরি মসজিদ)

Never Let Me Go movie review